দুর্জয় সাহেব পেশায় একজন ফ্রিল্যান্সার, থাকেন উত্তরাতে।
উনি পড়াশুনা শেষ করে চাকরীর পিছনে না ছুটে বেছে নিয়েছেন ফ্রিল্যান্সিং। আর এ কারনেই পরিবারের সবাই কেমন আড় চোখে তাকায়। এখনো বাবা সুজোগ পেলেই বলেন তোর এতো পড়াশুনার কি দরকার ছিল যদি চাকরিই না করবি। এদিকে দুর্জয় সাহেবের বন্ধুরা কেউ ব্যাংকে আছে আবার কেউ নাছে নামি দামি বহুজাতিক কম্পানিতে। পরিবারের কাছে উনি এখনো বেকার। এ কারনেই কেউ বিয়ের জন্য চাপও দিচ্ছে না। এটা একটা ভালো বেপার কারন দুর্জয় সাহেন চান নিজেকে আরো একটু সময় দিতে এবং আন্তরজাতিক বাজারে যেন নিজের একটা ব্রান্ড তৈরি করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং করার সুবাদে উনি বাসা থেকে তেমন বের হন না। সেদিন সন্ধায় উনি হটাত রান্না ঘরে যেয়ে দেখলেন মা রুটি বানাচ্ছে এবং সারা শরীর ঘেমে জব জব করছে! বাসার সবাই রাতে রুটি খায় কিন্তু রুটি বানানো এতো কষ্ট উনি কখনোই ভাবেন নি।
এর পর উনি গুগুলে সার্চ করে আমাদের সন্ধান পান।উনি গত সপ্তাহে আমাদের কাছে রুটি মেকার অর্ডার করেছিলেন। আজ উনি ফোন করে আমাদের কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
উনার সাথে ফোন আলাপ যেমন ছিল।
“আমিঃ হ্যালো ম্যাজিক রুটি মেকার থেকে বলছি।
দুর্জয় সাহেবঃ আসলে আমি আপনাদের থেকে গত সপ্তাহে আমার মায়ের জন্য রুটি মেকার নিয়েছি।
আমিঃ স্যার রুটি মেকারে কোন সমস্যা হয়েছে।
দুর্জয় সাহেবঃ না, আমি আপনাদের কে ধন্যবাদ দেয়ার জন্য ফোন করেছি। রুটি মেকার পেয়ে আমার আম্মা ভিশন খুশি।
আসলে কিছুদিন আগে মায়ের ডায়াবেটিক ধরা পড়ে, ডাক্তার রুটি খেতে বলেছেন। এদিকে কোন ভাবেই রুটি বানানোর জন্য বুয়া পাচ্ছি না। খুব ঝামেলায় ছিলাম। এরি মধ্যে আপনাদের বিজ্ঞাপন দেখে অর্ডার দেই। অনলাইন থেকে নানা পণ্য কিনে ধরা খাইছি তাই আগে আম্মা কে কিছু বলি নাই। আম্মা রুটি মেকার দেখে প্রথমে ভেবেছিল একটা উটকো ঝামেলা জোগাড় করছি। কিন্তু এখন আম্মা অনেক খুশি।
আমিঃ ধন্যবাদ স্যার (চোখে আমান্দ অশ্রু)”
আমরা খুশি এরকম হাজারো মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে।
দেখুন রুটি মেকার কিভাবে কাজ করে আমাদের YouTube Channel
0 Comments